ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ , ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​নিয়মিত চুমু খাওয়ার শারীরিক উপকারিতা

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০৪:৩১:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৫-০৫-২০২৫ ০৪:৩১:১৫ অপরাহ্ন
​নিয়মিত চুমু খাওয়ার শারীরিক উপকারিতা ফাইল ছবি
চুম্বন হল দুই ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে কাউকে আদর বা স্নেহ প্রকাশ করা। সাধারণভাবে প্রেম, কাম, স্নেহ, অনুরাগ, শ্রদ্ধা, সৌজন্য অথবা শুভেচ্ছা প্রকাশার্থে অন্য কারো চিবুক, অধরোষ্ঠ, করতল, কপাল বা অন্য কোন অঙ্গে ঠোঁট স্পর্শ করা।সাধারণত আমরা চুমু বা চুম্বন বিষয়টিকে শুধুমাত্র প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা বা প্রেম প্রকাশের একটা মাধ্যম হিসেবে দেখে থাকি, কিন্তু বর্তমানের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে চুমু খাওয়ার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। তাই তোমার প্রিয়জনের সঙ্গে এই বিশেষ কাজটি করার সময় শুধুমাত্র মানসিক আনন্দ ছাড়াও যেসব শারীরিক উপকারগুলো তুমি পাচ্ছ সেগুলি জানতে চটপট নিচের পয়েন্টগুলি দেখে নাও।চুম্বন আবেগ, ভালোবাসা ও আদর প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলেও, চুমুর আরো অন্যান্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই, চুমু স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু উপকারী সেটা সবার জানা অতীব জরুরী।

১) মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে 
আজকাল প্রতিটি মানুষই কমবেশি মানসিক চাপের শিকার । আধুনিক গবেষণায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে , সামান্য একটা চুমু তোমার এই মানসিক চাপ , হাইপারটেনশন অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম ।

২) আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
এটা আমরা সবাই জানি যে চুমু প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা প্রেম ও যত্নের প্রকাশ , তাই প্রিয়জনের কাছ থেকে পাওয়া এই চুমু অনেকক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে -এ কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না ।

৩) উচ্চ-রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
চুম্বন হার্টরেট বাড়িয়ে দেয় , যা শরীরে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং তারফলে রক্তচাপ খুব দ্রুত কমে আসে । চুমু খাওয়ার অন্যতম ভালো একটি দিক ।

৪)রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
চুম্বনের মাদ্ধমে যে লালারস বা সালিভার আদানপ্রদান হয় তাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। ২০১৪ সালে BioMed Central Ltd এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসমস্ত কাপলরা নিয়মিত কিস করে তাদের স্যালিভা আদানপ্রদানের মাধ্যমে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৫) ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে , চুমু দেহে এড্রিনালিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায় , যা দেহের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে ।

৬) দাঁতের ক্ষয় কমায়
চুম্বনের সময় লালাগ্রন্থি লালারস ক্ষরণ ঘটায় , যা আমাদের দাঁতের ওপর একটি আস্তরণ সৃষ্টি করে ও খাবার আটকে থাকতে দেয় না , ফলে দাঁতের ক্ষয় কম হয় ।

৭) সম্পর্ক সুদৃঢ় করে
কিস করলে আমাদের শরীর Oxytocin হরমোন ক্ষরণ ঘটায় , যাকে “The Love Hormone” বলে । এর ফলে আমাদের মস্তিষ্কে এক ভালোবাসার অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।

৮) যৌন আকাঙ্ক্ষার বৃদ্ধি ঘটায়
সুস্থ যৌন জীবন শারীরিক সুস্থতার অন্যতম লক্ষণ । চুমু আমাদের শরীরে Testosterone নামক সেক্স হরমোনের ক্ষরণ ঘটে যা যৌনতার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে ।

৯) মুখের ব্যায়াম
যদিও আমরা হয়তো কখনোই এভাবে ভাবিনা , কিন্তু চুম্বন একপ্রকারের ব্যায়ামও বটে । চুম্বনের সময় মুখের দুই দিক থেকে ত্রিশটির মত মাসেলের ব্যবহার হয়ে থেকে । তাই কিস করলে মুখের ব্যায়াম হয় । সবকটা ব্যায়ামই যদি এরকম মজাদার হতো তাহলে হয়তো আর ব্যায়াম করতে অনিচ্ছুক অলস মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না ।

১০) ক্যালোরি বার্ন করে
যেহেতু চুম্বন এক প্রকারের ব্যায়াম , তাই এতে যে ক্যালোরি বার্ন হবে তা খুবই স্বাভাবিক । চুম্বনের সময় প্রতি মিনিটে প্রায় ২ থেকে ২৫ ক্যালোরি পর্যন্ত আমরা বার্ন করি । তাই এরপর থেকে চুমু খাওয়ার সময় ঘড়ির কাটার দিকে নজর রাখবে , আর তোমার ডেইলি ক্যালোরি বার্ন এর টার্গেটের সাথে যোগ করবে ( জাস্ট মজা করলাম )।

১১) তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে
তারুণ্য জীবনের সেই সময় যখন একজন মানুষ তরুণ থাকে। আরেক ভাবে বলা যায়, যার মধ্যে সৌন্দর্য, সজীবতা, জীবনীশক্তি উদ্দীপনা ইত্যাদি থাকে সেই তরুণ। আর চুমু চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে বেশ কার্যকরী। চুম্বনের সময় মুখের ৩৪টি পেশি এবং ১১২টি পসট্রুয়াল পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ফেসিয়াল পালসি, মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

১২) হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে
শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে মস্তিষ্ক এবং হার্ট সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর যেকোনো একটি বিকল হলেই মহাবিপর্যয় নেমে আসে জীবনে। তাই হার্ট সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে নানামুখী গবেষণাও চলছে প্রতিনিয়ত।ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বন আমাদের হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। চুমুর সঙ্গে হৃদয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই দেখা গেছে, যারা হামেশাই একে অপরকে চুমু খান তাদের হৃদপিণ্ড অনেক বেশি সুস্থ থাকে।

১৩) শরীর গরম রাখে
চুমু খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ে, যা শীতকালে দারুণ কার্যকর হতে পারে। এটি শরীরকে তাজা ও উদ্যমী রাখে।

আবার চুমু খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো নেতিবাচক যুক্তিও কিন্তু পাওয়া গেল।  খুব পছন্দের কোনো জিনিস বারবার করলে সেটার থেকে পাওয়া আনন্দ অনেকটাই কমে যায়, তাই সব কিছুরই একটা লিমিট থাকা দরকার। গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত চুম্বন করে, জীবন সম্পর্কে তাদের ধারণা বেশ ইতিবাচক হয়। এই সব যুগল অন্যদের তুলনায় বেশি দীর্ঘ ও সুস্থ্ জীবন যাপন করতে পারে। চুমু খেলে ইমিউনিটি বাড়ে। জন্মগত চোখের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও আরও বেশ কিছু জন্মগত জটিল রোগও সেরে যায়।

বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ